
Title | : | টুকুনজিল |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 9844124786 |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 95 |
Publication | : | First published June 1, 2004 |
টুকুনজিল Reviews
-
অনেক ছোটবেলায় পড়েছিলাম। তখন ক্লাস থ্রি তে। বিশ্বসাহিত্য কেন্দ্রের ভ্রাম্যমাণ লাইব্রেরি আসত বাসার কাছে। সেইখান থেকে নিয়ে পড়েছিলাম। ছোট্ট, সুন্দর, মায়াময় একটা বই।
-
সায়েন্স ফিকশন নয়, বরং ফ্যান্টাসি বলাই ভালো এই লেখাকে। কিন্তু কী ভালো! পড়ার পর মুখে হাসি ফোটে, চোখের কোণটা ভিজে ঠেকে, আর আকাশের দিকে চোখ যায়।
এইরকম লেখা পড়লে মানুষ বড়ো হয়, বুড়ো হয় না। -
নীলগাঙের তীরে নীলাঞ্জনা হাই স্কুল। সেই ইস্কুলে পড়ে বিলু। সেভেনে।
বিলুরা চার ভাই-বোন। বড়বু, রাঙাবু, বিলু আর সবার ছোট লাবু। বিলুর মা আছেন আর আছেন একটু অন্য ধাঁচের একজন বাবা। জীবজন্তুর কথা বুঝতে পারেন বলে সবাই তাকে পাগল ভাবে। কী অন্যায় বলো তো?
বাবাকে নিয়ে বিলুর অনেক দুঃখ। লোকে বাবাকে পাগল বলে বলেই ওর বড়বুর পড়াশোনা হলো না। একটা প্রস্তাব আসতেই সবাই জোর করে ওর বুবুটাকে বিয়ে দিয়ে দিলো। অথচ বুবু পড়াশোনায় কী ভালোই না ছিলো!
বিলু নিজেও কিন্তু পড়াশোনায় ভীষণ ভালো। ওর রোল নং কতো জানো? এক, ক্লাসের ফার্স্ট বয় ও। পুরো জেলায় বৃত্তি পরীক্ষায় প্���থম হয়েছিলো সেবার, হুঁ হুঁ বাবা।তাই বলে সারাদিন ঘাড় গুঁজে কেবল পড়াশোনাই করে না ও, প্রাণের বন্ধু দুলালের সঙ্গে লাইব্রেরি থেকে গল্পের বই নিয়ে মজা করে পড়েও।দমাদম পিটিয়ে ফুটবলও খেলে। ওদের একটা ফুটবল ক্লাবও আছে, জানোতো? গ্রীন বয়েজ ফুটবল ক্লাব।
বিলুর ছোটখালা থাকেন শহরে। একবার হঠাৎ করে এসে বিলুকে নিয়ে যান তিনি, এতো মেধাবি ছেলেটা, এখন থেকে নাহয় তার বাসায় থেকেই পড়াশোনা করুক। বন্ধুদের আর বাবা-মাকে ছেড়ে যেতে হবে জেনে বিলুর ভীষণ মন খারাপ হয়, ভীষণ-ই! কিন্তু খালার টকটকে লাল গাড়িতে চেপে শহরে যেতে পারবে জেনে খুশিও হয় ও।
বল্টু আর মিলি, বিলুর ছোটখালার দুই ছেলেমেয়ে। ওরা ঠিক আপন করে নেয় না ওকে, ভাবে গেঁয়ো,বোকা ছেলে। ওর নূতন ইস্কুলের ফার্স্ট বয় লিটন, সেও বিচ্ছিরি ব্যবহার করে ওর সঙ্গে, প্রথম দিন থেকেই। লিটন কিনা ক্যারাটে'তে ওস্তাদ, তাই খামোখাই বিলুকে ধরে সেইরকম পিট্টি-ও দেয় দুষ্টু ছেলেটা। বিলুর বড্ড মন খারাপ হয় সব মিলিয়ে। ভাবো তো, এইটুকুনি একটা ছেলে.. বাবা-মা-ভাই-বোন সবাইকে ছেড়ে এতোদূরে এসেছে, তায় আবার অন্যায়ভাবে মার খেলো। খারাপ তো লাগবেই, তাই না?
কিন্তু নূতন ইস্কুলের যিনি ক্লাসটিচার, ভীষণ ভালো মানুষ তিনি। তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু এরকম আরো ভাল কিছু ছেলের সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব হয়ে যায় ওর। বিলুর আর তখন একা একা লাগে না।
আরেকজন বন্ধু পায় বিলু, টুকুনজিল। এন্ড্রোমিডা নক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা মহাকাশের প্রাণী। ভীষণ ক্ষমতা তার, তবে কিনা এইটুকুনি দেখতে। তাই তার নাম রেখেছে বিলু, টুকুনজিল। ভাগ্যিস বিলুর ছোটখালুর ভাই বিদেশ থেকে ফিরে ওর খালার বাসায় বেড়াতে এসে বিলুকে একটা ম্যাগনিফাইং গ্লাস উপহার দিয়েছিলেন। নয়তো টুকুনজিলকে তো ও খুঁজেই পেতো না কখনো।
বব কার্লোস নামে এক নিষ্ঠুর বিজ্ঞানি ওঁৎ পেতে ছিলো টুকুনজিলকে ধরে নেবে বলে। ধরে নিয়ে আটকে রাখবে বছরের পর বছর, ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করে দেখবে কী করে এতো কিছু জানে, কেমন করে এতো ক্ষমতা টুকুনজিলের।
কিন্তু বিলু তো টুকুনজিলের বন্ধু। তোমার বন্ধুকে কেউ যদি খাঁচায় পুরে রাখতে চাইতো, তুমি কি তা হতে দিতে? তাই সবটুকু সাহস নিয়ে বন্ধুকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সে।সঙ্গে থাকে তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু..ওর ইস্কুলের স-ব বন্ধুরা।
তারপর টুকুনজিল পচা বিজ্ঞানী কার্লোস আর তার সাঙ্গপাঙ্গকে ক্যামন শিক্ষা দেয়, উফফ, তা যদি দেখতে!
এরপর বিলুকে ফিরিয়ে দিয়ে আসে নীলগঞ্জে, ওর বাবা-মার কাছে। যেখানে সবাই পথ চেয়ে ছিলো, বিলু কবে বাড়ি ফিরবে।টুকুনজিলও ফিরে যায় এন্ড্রোমিডায়, তার নিজের গ্রহে। দিনের শেষে সবাই তো নিজের জায়গায়, নিজের মানুষদের কাছে ফেরে, তাই না?
এরপর অনেকদিন কেটে গেছে।বিলু এখন নীলগঞ্জেই থাকে, এখানেই পড়ছে সে। ওর রাঙাবু আছে, মা আছে, বন্ধু দুলাল আছে, কে যায় এদের ছেড়ে! বাবাও তো ভালো হয়ে গেছেন ওর, টুকুনজিল ওর বাবাকেও সারিয়ে দিয়ে গেছে।
শুধু সন্ধ্যায় কিংবা অনেকরাতে, যখন মিটমিটে জোনাকির মতো আকাশ জুড়ে নক্ষত্রের মেলা বসে..তখন দূরে তাকিয়ে বিলু দূর মহাকাশের গ্রহে থাকা ওর সেই বন্ধুর কথা ভাবে।
যেমনটা ভাবে টুকুনজিলও, ওর বন্ধু বিলুর কথা, ছায়াপথের অন্য প্রান্তে দাঁড়িয়ে।
________________________________
একটা অনলাইন নিউজ চ্যানেলের কিডস সেকশনের জন্য লেখা।
বাচ্চাদের জন্য বাচ্চাদের মতো করে লেখার ফ্যাচাং আছে। :-/ -
পুরো সপ্তাহ "বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে এই বই পড়বো" এই আশায় কাটিয়েছি।অবশেষে বৃহস্পত���বার এলো,বিকালে বাসায় ফিরে কম্বলের তলায় এই বই হাতে ঢুকলাম।কি আরাম!
জাফর ইকবাল মানেই হালকা কিছু,মজার কিছু,পরিচিত ছাঁচে গড়া একটু খানি ছোটবেলা।এই বই ও ব্যতিক্রম নয়।
বিলুর গ্রামে দিন কাটে ভারি আনন্দে।বিলুদের হয়তো বেশি টাকা পয়সা নেই,কিন্তু তার জীবনে ভালোবাসার কমতি নেই কোনো।ভাই-বোন,মা-বাবা,বন্ধুদের নিয়ে তার জীবন বেশ চলছিলো।
হঠাৎ কোত্থেকে ছোটখালা এসে তাকে লেখাপড়ার জন্য নিয়ে যায় শহরে।সেখানে বিলু খুঁজে পায় এক আজব বন্ধু- টুকুনজিলকে।কেনো আজব টুকুনজিল?শহরে বিলু কি মানিয়ে নিতে পারলো?জানতে হলে পড়তে হবে এই "ফাই-উট"(তারিকের ভাষায় ফাইন প্লাস কিউট) বইটি। -
এ বইতো আমার অলটাইম টপ ফেভারিট। একদম পিচ্ছি থাকতে যখন পড়েছিলাম তখন কতো হেসেছি আর কতো কেদেছি যে পড়ার সময়! তো এখন আবার বইটার এই পুনঃপাঠের পিছনে কিন্তু একটা কাহিনি আছে, আগে সেটা বলি।
রিমু আপু আর রিফাত আপা, আমার এই দুই শ্রদ্ধেয় বড় বোন মিলে একবার একসঙ্গে ব্যোমকেশ সমগ্র পুরো শেষ করেছিলেন। একজন পড়বে আর আরেকজন শুনবে এরকম ব্যবস্থা। তো ওরা যখন রিভিউ দিল, তখন তো আমি একদম যাকে বলে শয়ন থেকে উঠে বসেছি। আরে এতো দারুণ জিনিস! আমার ভাইটাকে নিয়েও তো এরকম কিছু করা উচিত যেই ভাবা সেই কাজ! এরকম দারুণ একটা আইডিয়া তো ব্যবহার ন করে থাকা যায় না। তাই টুকুনজিল দুই ভাইয়ে মিলে পড়া শুরু করলাম। আসলে বলা উচিত কনিষ্ঠজন পড়ল, জ্যেষ্ঠজন শুনল। তো আইডিয়াটা ওদের দুইজনের কাছ থেকে ধার করেছি বিধায় ওদের অনেক বড় বড় অসংখ্য ধন্যবাদ।
তো বইটা পড়ার অভিজ্ঞতাটা কেমন হলো? এক কথায় দারুণ! লিসানকে দিয়ে পড়াচ্ছিলাম, আর ও পঁচিশ পেইজ পড়ার পর পর বলছিল,"ভাইয়া, গলা শুকায় গেছে। পানি খেয়ে আসি।" আর আমার মা তো খুশিতে একদম উড়ুউড়ু। আমি সারাদিন শুয়ে শুয়ে মোবাইল চালাই বলে গত ছয় মাস ধরে উনার কাছ খালি গালিই খেয়ে আসছি । আজ আমাদের দুই ভাইকে একসঙ্গে বইটা পড়তে দেখে আমার ম্যালা খুব প্রশংসা করা হলো। এই জন্যও দুই বোনকে ধন্যবাদ দেয়া দরকার। সব�� ওদের মাস্টারপিস মাস্টারপিস আইডিয়াটার ফসল।
বইটা পড়ার মাঝপথে আমি বলছিলাম,"ইশ! বিলুটা যে ক্যান শেষের দিকে মারা গেলো!" মিথ্যা স্পয়লা���। এইটা শুনে আমার ভাই একদম যেনো কেঁদে ফেলবে অবস্থা(স্পয়লার দিলে যে রাগতে হয়, এইটা বোধহয় এখনও জানে না:3)। ''ভাইয়া কি হইছে ওর সাথে। দুর বলস না কি হইছে? মরে গেলো কিভাবে?" বইটা বোধহয় ঐখানেই ফেলে রেখে উঠে যেতো, অনেক ধরে বেধে বাকিটুকু পড়ালাম। শেষ করে যখন দেখল বিলু মরে নাই, তখন বললাম, "এখন খুশি হইছিস?"
"না! এই এন্ডিংটাও ভালো না।"
যাই হোক, পুরনো আবেগ এবং স্মৃতি রোমন্থন আর ভাইয়ের সঙ্গে কিছু ভালো সময় কাটানো, টুকুনজিল পুনঃপাঠের জার্নিটাকে অসাধারণ ছাড়া আর কিছু বলা সম্ভব নয়। -
বল্টু এবং সেই মহাজাগতিক প্রাণী টুকুনজিল 💮
এ বই গুলো মানে সুন্দর সময়। এখন হয়ত এগুলি এত আকর্ষণ করে না; কিন্তু একটা সময় এগুলা ছিল অবসর এর সঙ্গী আর কেমন মোহগ্রস্ত এর মত পড়তাম। সপ্তাহে একটা দিন লাইব্রেরির জন্য দেয়াটা আর কখনো হবে নাঃ-) -
একটা ভীষণ প্রিয় বই দিয়��� এই বছর টা শুরু করলাম। টুকুনজিল আর বিলুর জন্য মন কেমন হুহু করে কেঁদে উঠলো!
একজনের এই বইটাকে তিনতারা দেওয়া পছন্দ হলোনা। -_- -
বইটা খুব সম্ভবত ২০১৩-১৪ সালের দিলে পড়েছিলাম।বইটা ছিল আমার বন্ধু হামিমের।তার কাছ থেকে এনেই পড়েছিলাম।আমি খেয়াল করেছি কোনো একটা বই একজনের কাছে ঠিক কতটা ভালো লাগবে তা নির্ভর করে সে বইটা কোন বয়সে, কোন পরিবেশে, কোন মানসিক অবস্থায় পড়ছে।এই বই পড়ার সময়কার বয়সটা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে সুন্দর বয়স।ঐ সময়ে যে বই পড়তাম তাই ভালো লাগতো।আর ঐ সময়টাতে অনেক বেশি জাফর স্যারের বই পড়া হতো।বইটা শেষ করার পরে তীব্র একটা স্নিগ্ধতার রেশ অনেকক্ষণ ধরে মনের গহীনে রয়ে গিয়েছিলো।
যদিও এটাকে সায়েন্স ফিকশান বলা হয়েছে, আসলে এখানে সায়েন্স এর থেকে অনেক বেশি হচ্ছে কল্পনা(স্যারের নিজের ভাষাতেই)।হার্ডকোর সায়েন্স ফিকশান নয় একদমই; একারণেই অনেক বেশি সুখপাঠ্য।এক বসাতেই পুরোটা শেষ করা যাবে খুব সহজেই।
কাহিনীর প্রতি মোড়ে মোড়ে আবেগ, রোমান্স, অ্যাডভেঞ্চার এর এক চমৎকার মিশেল রয়েছে।সত্যি বলতে আমি বিলু চরিত্রের ভেতর নিজেকে কল্পনা করা শুরু করে দিয়েছিলাম।বইটা শেষ করার পর ভেতর থেকে তৃপ্তিময় একটি দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে এসেছিলো।কৈশোরের এক আনন্দময় স্মৃতি ছিল এ বই।^_^ -
লেখকের ভাষাতেই এটা হল একটুখানি বিজ্ঞান আর অনেকটা ফিকশন। সে যাই হোক, মজা পেয়েছি অনেক। শেষটায় বেশি ভালো লেগেছে।
-
আমার দৃশ্যটা চোখে গেঁথে আছে,রাত সম্ভবত দশ বা সাড়ে দশ! ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছি সবাই,আমি ক্লাস ফাইভ বা সিক্সে সম্ভবত। লেপের নিচে শুয়ে বইটা উল্টেপাল্টে দেখছি আর পড়া শুরু করছি।তখন বাড়িতে বই ছিল গোটাকয়েক মাত্র,যা কটা আম্মু লাইব্রেরিয়ান হিসাবে পেতো,তাই-ই!!
শুধুমাত্র বই নাই দেখে একই বই যে আমি কতোবার পড়েছি,তার ইয়াত্তা নেই!!! সেই তখন থেকেই মনে হয় আমার এই অভ্যেস,বারবার পছন্দের কোন বই পড়তেই থাকা,বারবার পুরনো ভালোলাগা মুভি দেখতেই থাকা!!!
বইটা আমার এতো কাছের যে আমি বলে বুঝাতে পারবো না!!! পিঁপড়ের সাড়িতে যে কতো খুঁজেছি সেই টুকুনজিল! আহা!!! -
অসাধারণ!খুব মজার একটি বই।
অনেক হেসেছি..সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে মেশিনগান ভাঙ্গার সময়টি..হো হো করে হাসছিলাম।
নিজেকে যেন দেখতে পাচ্ছিলাম বইয়ের ভেতর।
বলা যায় অনেকটা রম্য সায়েন্স-ফিকশন :)
টুকুনজিল যে কিনা ভিনগ্রহের প্রাণী তার বিদায়ের পর্বটি আমি জোরে জোরে পড়ছিলাম।সেই মুহূর্তটি ভিষন করুণ ছিল..লক্ষ্য করলাম ধীরে ধীরে গলা ধরে আসছে!
না পড়লে পুরাই মিস ;) -
Amar pora prothom science fiction. Awshadharon.. Hardcore sci fi nah tobe starter hishebe chomotkar. kintu ekhon ar uni ei dhoroner boi lekhen nah :(
-
৬ বছর পর আবার পড়লাম টুকুনজিল :') Same old feeling :')
-
খাঁটি দেশীয় পরিকাঠামোয় লিখিত কল্পবিজ্ঞান।
-
Very nice book
-
আমার পড়া প্রথম বিজ্ঞান কল্পকাহিনী। তাই এই বইটার প্রতি অন্যরকম আবেগ কাজ করে সবসময়।
-
সোনালী দিনগুলি..…
-
নীলাঞ্জনা হাই স্কুলে সেভেনে পড়ে বিলু।
বিলুরা চার ভাই-বোন। বড়বু, রাঙাবু, বিলু আর সবার ছোট লাবু। বিলুর মা আছেন আর আছেন একটু অন্য ধাঁচের একজন বাবা। জীবজন্তুর কথা বুঝতে পারেন বলে সবাই তাকে পাগল ভাবে।বিলুর ছোটখালা থাকেন শহরে। একবার হঠাৎ করে এসে বিলুকে নিয়ে যান তিনি।মিলি, বল্টু ছোটখালার দুই ছেলেমেয়ে। ওর নূতন ইস্কুলের ফার্স্ট বয় লিটন যে কিনা ক্যারাটে'তে ওস্তাদ, তাই খামোখাই বিলুকে ধরে ধোলাই দেয় ছেলেটা।তবে তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু এরকম আরো ভাল কিছু ছেলের সঙ্গে দ্রুত বন্ধুত্ব হয়ে যায় ওর।আরেকজন বন্ধু পায় বিলু, টুকুনজিল। এন্ড্রোমিডা ��ক্ষত্রপুঞ্জ থেকে আসা মহাকাশের প্রাণী। ভীষণ ক্ষমতা তার যদিও বেশ ছোটো দেখতে বিলুর ছোটখালুর ভাইয়ের দেওয়া ম্যাগনিফাইং গ্লাস দিয়ে দেখতে হয় টুকুনজিলকে।বব কার্লোস নামে এক নিষ্ঠুর বিজ্ঞানি ওঁৎ পেতে ছিলো টুকুনজিলকে ধরে নেবে বলে।কিন্তু সবটুকু সাহস নিয়ে বন্ধুকে বাঁচাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিলু সঙ্গে তারিক, মাহবুব, সুব্রত, নান্টু এবং ওর ইস্কুলের সব বন্ধুরা।তারপর টুকুনজিল বিজ্ঞানী কার্লোস আর তার দলবলকে বেশ শিক্ষা দেয়।এরপর বিলুকে ফিরিয়ে দিয়ে আসে নীলগঞ্জে, ওর বাবা-মার কাছে।টুকুনজিলও ফিরে যায় এন্ড্রোমিডায় যাওয়ার আগে বিলুর ব��বাকে সারিয়ে দিয়ে গেছে।তারপর বিলু নীলগঞ্জেই থেকে যায়।শুধু সন্ধ্যায় কিংবা অনেকরাতে বিলু দূর মহাকাশের গ্রহে থাকা ওর সেই বন্ধুর কথা ভাবে।
বইটি কিডস সেকশনের জন্য।
বাচ্চাদের জন্য বাচ্চাদের মতো করে লেখার ফ্যাচাং আছে। -
গ্রাম থেকে আসা গরিব পাগলাটে বাবার ছেলে বিলু শহুরে ধনী আত্মীয়ের বাসায় এসে আকস্মিকভাবে অন্যগ্রহ থেকে আসা এক প্রাণীর সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তুলে। ধনী আত্মীয় অবজ্ঞা অবহেলার মাঝে বিলু ভিনগ্রহের প্রাণী টুকুনজিল(বিলুর দেয়া নাম) এর সাথে এক অদ্ভুত সখ্য খুজে পায়। বিলু টুকুনজিলকে শিখায় ভালোবাসা, বন্ধুত্ব এবং আবেগ।
-
টুকুনজিল অনেক মজার সায়েন্স ফিকশন। দশ থেকে পনের বছর বয়সিদের জন্য বাংলায় লেখা ভালো সায়েন্স ফিকশন খুব কমই আছে। যেগুলো আছে, তার মধ্যে টুকুনজিল এর নাম বলা যায়। এটা পুরোপুরি সায়েন্স ফিকশন ও বলা যাবে না। গল্পের মূল চরিত্র হঠাৎ একদিন এক এলিয়েনের দেখা পায়। এরপর শুরু হয় মজার ঘটনাবলী। ছোটদের বই গিফট করার জন্য ভালো অপশন।
-
ছোটোখাটো ফ্যান্টাসি 💙
-
ছোটবেলার প্রিয় গল্প 😍
-
বইটা পড়ার আগে বইটা সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য কম শুনিনি।তাই পড়ারও খুব একটা ইচ্ছা জাগেনি।তবে সুযোগ হয়ে গেল ধার করে পড়বার।তাই সুযোগটা হাতছাড়া করলাম না।"বইটা পুরোটাই কপি করা" পড়ার পরে এমনটা মনে হলো না।তবে লেখক অন্য কোথাও থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে আইডিয়া নিয়েছিলেন সেটা বোঝা যায়।এতে আমি অন্যায়ের কিছু দেখি না।বইটা ভালো না লাগার কারণ ভিন্ন।হয়তো আরো কম বয়সে পড়লে ততটা খারাপ লাগত না।যুক্তি-কুযুক্তির মিশেল মনে হয়েছে বইটাকে।তবে ছোটদের কথা বিবেচনা করলে সেটাকেও মেনে নেওয়া যায়।এসবের মধ্যে বিজ্ঞানের যুক্তি না টানলেও হয়তো চলতো যেহেতু কাহিনীটা এমন পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যেখানে যুক্তি না দেখালেও চলবে।আর সেসব যুক্তি বাস্তবসম্মত হলেও সেগুলো ছোটদের বোধগম্য হওয়ার কথা না।আমার মনে হয় ছোটদেরকে উদ্দেশ্য করে লেখা হলে এই ব্যাপারটায় একটু নজর দেওয়া উচিত ছিল লেখকের।এছাড়াও সব চরিত্রের কথনশৈলী একই রকম হওয়ায় বইটায় কোনোরকম বৈচিত্র্য খুঁজে পাইনি।এরকম বেশ কিছু কারণে বইটা ভালো লাগেনি।
-
The book was written based on a teenage boy "Bilu" who is curious and has a diligent mind of his kind.
Due to Bilu's family's circumstances, he had to move with his elder aunt from his village.
In the city, Bilu got admitted to a new school and the journey of his discovery begin.
"Tukunjil" is an alien whom Bilu found throughout his discovery and together they have an extreme adventure.
Overall, the story was fascinating but I would nominate this book a fantasy rather than a science fiction. -
আমি তখন ক্লাস সিক্সে। সালটা হচ্ছে ২০০২। কৃষিশিক্ষা ক্লাসে স্যার গল্প বলতে বলেছিল তার আগেরদিন আমি এই বইটা পড়ে শেষ করেছিলাম। শুরু করলাম বলা। ঘণ্টা পড়ে গেল আমার গল্প বলা শেষ হয়না। স্যার পর্যন্ত তন্ময় হয়ে শুনছিলেন। পরে বললেন পরেরদিন আবার শুনবেন। আমার পড়া দ্বিতীয় বই জাফর ইকবালের।
এই বই পড়লে মনে হবে জীবনে কিছু একটা আসে যেটা জীবনকে আমূল পরিবর্তন করে দেয়। এবং সেটা আসলেও আসে। -
এমন একটা গল্প, যেই গল্পে সায়েন্স আর ফ্যান্টাসি দুটোই একসাথে রয়েছে!একটি মহাকাশের প্রাণী আর ছোট্ট এক ছেলের কথা।এই বইটি পড়ে প্রথম আমি কেঁদেছিলাম ও একইসাথে হেসেছিলাম!আর ভেবেছিলাম আমার কাছের মানুষ চলে গেলে কেমন লাগবে?🥺
-
বাচ্চাদের জন্য খুব মজার একটা বই
-
I loved it so much, it's such an endearing and adorable story about friendship.
-
Zafar