
Title | : | হাত কাটা রবিন |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 9844100100 |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 72 |
Publication | : | First published January 1, 1976 |
হাত কাটা রবিন Reviews
-
কতবার পড়লাম এই বইটা? ২০ বার? ২৫ বার? ৩০ বার? আরো বেশিও হতে পারে। এই বইটা বাদ দিয়ে (এবং মুহাম্মদ জাফর ইকবালের আরো ২-৩টা কিশোর উপন্যাস) বাংলাদেশের কিশোর সাহিত্যের ইতিহাস লেখা সম্ভব নয়। ১৯৭৬ সালে প্রকাশিত 'হাত কাটা রবিন' বাংলাদেশের কিশোর সাহিত্যের ধারাই পাল্টে দিয়েছিল, এবং এরপরে জাফর ইকবালকে অনুসরণ করে অনেক বই লেখা হলেও তাঁর ধারেকাছেও কেউ শিশু-কিশোর মনে ওরকম প্রভাব বিস্তার করতে পারেননি। কবে কেউ পারবেন, সে নিয়েও আমার সন্দেহ আছে। তাঁর লেখাগুলো স্রেফ গল্প নয়, একটা সময়ের প্রতিনিধি, সে বিবেচনায় এগুলোকে আমি ক্লাসিকের পর্যায়ে ফেলবো। বইটা কবে প্রথম পড়েছিলাম ঠিক সেই বছরটা মনে না থাকলেও গল্পটা মনে আছে; পাড়ার এক বড়ভাইয়ের বইয়ের তাকে দেখেছিলাম। সময়টা ১৯৯৫ বা ১৯৯৬; তখনো বাসায় বই কিনে পড়ার চেয়ে লাইব্রেরি বা বইয়ের দোকান থেকে বই ভাড়া নিয়ে পড়ার চল ছিল বেশি। সে ছেলেরও নিজস্ব বই বেশি ছিল না, কিন্তু আমার চেয়ে বেশি ছিল সেটা ঠিক। কারো পকেটেই টাকাপয়সা তেমন থাকতো না, আমাকে আবার টিফিনটাও বাসা থেকে দিয়ে দিত বলে টিফিনের পয়সা বাঁচানোর সুযোগ ছিল না। সেরকম সময়েই একদিন বইটা দেখে নেয়ার জন্য ঝুলোঝুলি শুরু করলাম, কিন্তু একটা বই পড়তে নিলে আরেকটা বই পড়তে দিতে হবে, সেরকমই শর্ত। আমার ভাণ্ডারে অত দামী (হার্ডকাভার, সুন্দর প্রচ্ছদ, ওরকম বই কেনার পয়সা তখন নেই, আমার দৌড় তিন মাসে একটা পেপারব্যাক তিন গোয়েন্দা আর মাঝে মাঝে নন্টে-ফন্টে বা চা��া চৌধরী পর্যন্তই। হ্যাঁ, ওসময় ইনডিয়ান বই বেশ সস্তা ছিল) বই নেই, কাজেই বিনিময়ে রাজি করাতে দু'সপ্তাহ ঘুরতে হয়েছিল সেটাও মনে আছে। সেসময় পাড়ার ছেলেপেলেরা কোন একটা ক্লাব বা দল গড়ে ফেলতো যে কোন কিছুর (ঠিক যেরকম রবিন আর টোপনরা ফুটবল ক্লাব বা ডিটেকটিভ কোম্পানি খুলে ফেলে সেরকমই), নাহলে মানইজ্জত নিয়ে টানাটানি। আমাদের সেরকম একটা ক্রিকেট আর ফুটবলের দল ছিলই, কিন্তু ভাল ছেলেপেলে (পড়ুন, হাবলু টাইপ) নিয়ে দল গড়লে যা হয়, আমরা বেশিরভাগ খেলাতেই পাড়ার ডাকাবুকো ছেলেদের কাছে হেরে যেতাম। ওদিকে লাইব্রেরি করতে গেলেও সমস্যা, কেউই নিজের বই দিতে চায় না। কাজেই ঐ ছেলের উৎসাহে আমরা একটা দাবা ক্লাব খুলে ফেললাম, আর দাবার চালও যে লিখে রাখতে হয় বা বই দেখে সেটা খেলা যায় কিংবা ঘড়ি দিয়ে সময় রেখে দাবা খেলতে হয় (দাবা মানেই আমাদের ধারণা ছিল দু'টো বুড়ো লোক অসীম সময় ধরে ঝিমাবে), সেটা ঐ ক্লাব বানিয়ে বইপত্র পড়েই আমাদের জানা হয়। তবে ক্লাবটা বেশিদিন টেকেনি (ঐ রবিনদের ক্লাবের মতই, বাচ্চাকাচ্চাদের কোন কিছুতেই বেশিদিন উৎসাহ থাকে না), আমরা কেউই ভাল দাবাড়ু ছিলাম না বলে।
তো ক্লাবের সদস্য বলেই অবশেষে বইটা ধার পেলাম, বদলে দিতে হলো দু'টো বই। আর পড়ার পর আবার পড়লাম, তারপর আবার, এবং আবার। যে বই ৩ দিনের মাঝে ফেরত দেয়ার কথা, সেটা নিতান্ত অনিচ্ছায় ফেরত দিলাম মাসখানেক পর। বইটার গল্প আমাদেরই গল্প; মফস্বলের পাড়ার একদল ছেলেপেলে, তাদের দুরন্তপনা, আর বোনাস হিসেবে খানিকটা অ্যাডভেঞ্চার। কিন্তু কি জীবন্ত বর্ণনা, মনে হয় সব আমাদের নিয়েই ঘটছে। বইটা আর কখনোই কেনা হয়নি, কিন্তু যেখানেই পেয়েছি একবার বা একাধিকবার পড়ে ফেলেছি। যতবারই মন গুমোট থাকে, আরো একবার করে পড়ে নস্টালজিয়ার বাতাসে মনটাকে ফুরফুরে করে নিই। নস্টালজিয়া বলছি, কারণ এই সেলফোন-ইন্টারনেট-কেবল টিভি-ফেসবুক-মেসেঞ্জার-চ্যাটিংয়ের যুগে খোলা মাঠঘাটের দৌড়াদৌড়ি আর সামান্যতে খুশি হয়ে যাওয়া দুরন্তপনার স্বাদ পাওয়া আর কোনভাবেই সম্ভব নয়। যাদের জন্ম নব্বই দশকের পরে, তারা সে সময় দেখেনি, আর সেটার সাথে নিজেদের নাড়ীর সংযোগ করতে পারবে, সে আশাও করি না। আর তাই এ বই তাদের ভাল লাগবে কিনা সেটাও আমি নিশ্চিত নই। কিন্তু যারা দেখেছে, তাদের কাছে 'হাত কাটা রবিন' নিজেদের অস্তিত্বের একটা অংশ হয়ে আছে, সেটা জোর গলায় বলতে পারি। আমাদের রঙিন শৈশব আর কৈশোরকে চিরন্তন করে তোলার জন্য তাই মুহাম্মদ জাফর ইকবালকে অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে জানাই গভীর কৃতজ্ঞতা। -
ছোট বেলায় ফিরে যাওয়ার একমাত্র উপায় এই ভীষণ প্রিয় বইগুলো হাতে নেওয়া। এখনও মনে পড়ে ছোটবেলায় কত মুগ্ধ বিস্ময়ে এই বইগুলো পড়তাম। লেখকের বিভিন্ন আত্মজৈবনিক রচনা বা সাক্ষাৎকার হতে জানা যায়, এই উপন্যাসটির পান্ডুলিপির ব্যাপ্তি নাকি আগে আরও বড় ছিল এবং পরবর্তিকালে প্রকাশের সুবিধার্থে তিনি সেই পান্ডুলিপির এক-তৃতীয়াংশ কেটে বাদ দিতে বাধ্য হন।
কিন্তু এটা কিন্তু উপন্যাস চলাকালীন একবারের জন্যেও পাঠক উপলব্ধি করতে পারবে না। বাদ দেয়া অংশটুকু ছাড়াই এটি বেশ পরিণতছোটদের জন্য লেখা মুহম্মদ জাফর ইকবাল-এর দারুন একটা বই। -
কিশোরদের সাইকোলজির সাথে আপডেট থাকার জন্য হলেও আমাদের মত বা আমাদের থেকে বুড়োদের মাঝে মাঝে কিশোর অ্যাডভেঞ্চার পড়া উচিৎ। আমরা অনেক সময়ই নিজেদের ম্যাচুরিটির জায়গা থেকে কিশোরদের আচরণ জাজ করে ফেলি, সহানুভূতি দেখাই না; ভুলে যাই একদিম আমরাও ওদের মত কল্পনাপ্রবণ ছিলাম, সাহস দেখিয়ে সবাইকে চমকে দিতে চাইতাম, নিজেদের ক্ষমতা-যোগ্যতার প্রমাণ দিতে চাইতাম।
এই বইগুলো আমাদের সেই সময়ের কথা মনে করিয়ে দেয়।
হাত কাটা রবিন লেখকের প্রথম কিশোর অ্যাডভেঞ্চার। এই উপন্যাসের ধারাবাহিকতা থেকেই দীপু নাম্বার টু এর সৃষ্টি। দীপু আমি কিশোর বয়সে পড়েছিলাম, আর সিনেমা দেখেছিলাম তারও ক'বছর আগে। তাই দীপুর সাথে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে আছে। দীপু নাম্বার টুর মত ভালোলাগা তো আর সম্ভব নয়, তবে ভালো লেগেছে হাত কাটা রবিন। -
কাহিনী মূলত টোপনের জবানীতে উঠে এসেছে পুরা ঘটনাটা। আর দশটা পাড়ার মতনই তাদের একটা ছেলেদের দল ছিল। একটা ক্লাব ছিল আর একটা ফুটবল টিম ছিল (যা বলের অভাবে ভেংগে যায়) তাদের। সবই খুব সাধারন ভাবেই হচ্ছিল। কিন্তু সব অলোট পালট হয়ে যায় পাড়ায় একটা নতুন ছেলে আসার পর। রবিন নাম তার। এলাকার নতুন আসা ডাক্তারের ছেলে সে। আর তার একটা হাত কাটা। তার জবানিতে এক্সিডেন্টের পর হাতের আংগুল কেটে টিকটিকির লেজের মতন লাফাচ্ছিল রাস্তায়। তাই হাতটা কেটে ফেলতে হয় তার। এসেই জায়গা করে নেয় সে সবার মনে। ডানপিটে। একটা হাত না থাকার অভাব সে কিছুতেই বুঝতে দেয় না। এসে পুনরায় ফুটবলের ক্লাব শুরু করে সে। এবং নিজে কাপ্টেন হয় তার। দেখতে দেখতে এলাকার সব গুলো ক্লাবকে হারিয়ে সেরা ক্লাব হয় তাদের স্পুটনিক ক্লাব। ভালই চলছিল সব। হঠাত করে এক ভোরে তারা ভয়ংকর এক ডাকাতের দেখা পায়। ঠিক করে পুলিশে ধরায়ে দিবে ডাকাতদলকে। কিন্তু তাদের কথা বিশ্বাস করবে কেন পুলিশ? পিছু নেয় তারা ডাকাত দলের। তারা কি পারবে ডাকাত দলকে ধরতে? কি আছে তাদের ভাগ্যে?
পাঠপ্রতিক্রিয়াঃ টিপিক্যাল মফস্বল এলাকার পাড়ার কাহিনী এটি। পড়তে গেলে নিজের ছোট বেলার কথায় বার বার ঘুরে ফিরে মনে পড়ে। নিজেও থাকতাম এমন একটি পাড়ায়। ছেলেপেলেদের আমাদেরও এমন এ���টা দল ছিল। সারাদিন খেলা ধুলা করে বের হতাম আর চলত আড্ডা। পড়ার টাইমে বার বার নস্টালজিক হয়ে যাচ্ছিলাম। -
আসল হাত কাটা রবিনটা পড়তে চাই।
যেটা স্যার কেটে কুটে বাদ দিয়ে দিয়েছিলেন।
যেটা কখনো প্রকাশিত হয়নি। :( -
মন ভালো করার জন্য মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাসগুলোর চেয়ে বড় ঔষধ আর কিছু নেই...
-
#feel_good_chill_mood_book
প্রচন্ড দাবদাহে প্রাণ অতিষ্ট গরমে যখন তিষ্ঠানো দায় হয়ে যায় শান্তির পরশ হিসেবে আকাশ থেকে কালো মেঘের পর্দা থেকে মুক্তো দানার মত পড়া বৃষ্টির ফোঁটা,কিংবা কুয়াশামাখা শীতের সকালে অরুণদেবের প্রথম কিরণ যখন গায়ে হুটোপুটি খায় অথবা গোধূলি বেলায় সেই কন্যা সুন্দর আলোয় যে আলোয় সমস্ত চরাচর মোহনীয় হয়ে ওঠে ,এই মুহূর্ত গুলোতে যে অনাবিল প্রশান্তি আর আনন্দে ভরে ওঠে যখন মন জাফর ইকবালের এই বইগুলো পড়ার সময় ঠিক একই অনুভূতি হয় আমার,ফেলে আশা শৈশব কৈশোরের স্মৃতি গুলো বুব্দুদের মতো ভেসে ওঠে যা দূর থেকে দেখতে ভালো,কাছে গিয়ে আলতো স্পর্শে হাত বুলিয়ে দেখার সৌভাগ্য যন্ত্রচালিত জীবনে ঠিক হয়ে ওঠে না।
জাফর ইকবালের বইগুলো এই হুটহাট নস্টালজিক করে দিলেও ঐ যে সবসময়ই বলি কাহিনী গুলোর পুনরাবৃত্তি আর একই চরিত্রে বারবার দেখার জন্য সব স্বাদ টুকু ঘেঁটে ঘ হয়ে বিস্বাদ লাগতে শুরু করে
এবারেও তাই হয়েছে বৈকি, কয়েকজন কিশোর, একটা গ্ৰাম ও তাদের দুংসাহসিক আপাত দৃষ্টিতে অবাস্তব অসম্ভব অভিযানের সে একই কাহিনী চলে এসেছে রবিন সলিল টিপু টোপন নান্টু হীরা আর মিশুদের গল্পে
আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে রবিনের নাম বলার ভঙ্গীটাতে
-ডাকনাম
-হাকার
-কি?
-হাত কাটা রবিন
রেটিং:🌠🌠🌠 -
বুড়ো বয়সে কিশোর উপন্যাস পড়লে কী তেমন মজা পাওয়া যায়? আরও আগে পড়লে হয়তো, বেশী উপভোগ করতাম!
-
This was my first book of Dr. Muhammed Zafar Iqbal. Enjoyed it a lot. During reading I laughed so loud! Even if I remember this now, I start to smile. This book is so good. I loved everything. Specially the fit in characterization. Every character was good and did portray their role perfectly. Reading it you can't help but laughing. This is Zafar Iqbal. He himself is a book! There is a fixed pattern of Zafar Iqbal’s every writing. Still I enjoy his every write up.
-
দুর্ধর্ষ হাতকাটা রবিন এবং তার দল 😍😍😍।
আচ্ছা... চুলকানির ইংরেজি যেন কী 😉??? -
বাচ্চাকালে পড়া সেরা বইগুলোর একটা (কিশোর উপন্যাস সমগ্র এর সব গুলাই ভাল লাগছে :) )।
তখন ক্লাস ফাইভে পড়ি।ক্লাসের পড়া শেষ করে হারিকেনের আলো আঁধারিতে বই গুলো পড়ার অভিজ্ঞতা অন্যরকম,একেবারেই অন্যরকম
রবিন এর দুশটুমি,টোপন আর তাদের দল এর কাণ্ড কারখানা এখনও নিয়ে চলে যায় বাচ্চাকালে,
বইটা পড়লে একটা কথায় মাথাতে আসে,আহা যদি ফিরে পাইতাম........................ -
খুব ভালো লেগেছে।
-
ক্লাস এইটে থাকতে মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর বই এর সাথে আমার পরিচয় এর শুরু। হ্যাঁ বেশ দেরি করেই হয়ত পড়া শুরু করেছিলাম বই গুলো। কত যে বই পড়েছি তার হয়ত আর হিসেব রাখা হয়নি। এজন্যই এখন আবার নতুন করে সব শুরু করলাম। বইটা পড়ে শুধু মনে হচ্ছিল ইশ এরকম একটা এডভেঞ্চার যদি আমিও করতে পারতাম।😍 আফসোস। খুব বোরিং ভাবেই আমার কৈশোর টা কেটে গেছে। বাকী জীবনেও হয়ত তাইই অপেক্ষা করছে। 😪
-
ছোটবেলায় পড়া বই। ছোটদের জন্য লেখা থ্রিলার এই বইয়ের টিভি এডাপ্টেশন ও হয়েছিলো, সেটাও দেখেছিলাম। টিভি এডাপ্টেশন তেমন ভালো হয়নি। কিন্���ু বইয়ের হাকা রবিন এ পর্যন্ত লেখ বাংলা কিশোর চরিত্রগুলোর মধ্যে অনেক মনে রাখার মতো।
-
ছোট বেলার স্মৃতি গুলো কেমন যেন দরজায় কড়া নাড়ছে। আসলে জীবনটা যতটা বিষাক্ত মনে হয় জীবন ওতোটাও বিষাক্ত নয়।
-
দারুণ উপভোগ্য একটা কিশোর উপন্যাস। স্কুল জীবনে পড়েছি। অনেক অনেক অনেক প্রিয় একটা বই। এখনও অনেক নস্টালজিক হয়ে যাই আমাদের কৈশোরের রবিনের নাম শুনলে।
-
সেই যখন স্কুলে পড়তাম তখন একুশে টিভিতে নাটকটি হত। নাম ছিল ‘হাকারবিন’। ভাবতাম এটা আবার কেমন নাম?! নাটকটি হত দুপুরে আর আমি ছিলাম ডে শিফটে। তাই বলাই বাহুল্য প্রথম থেকে নাটকটি দেখতে পারিনি। কোন এক টার্ম পরীক্ষার পর স্কুল কয়েকদিনের জন্য বন্ধ হয়ে গেল। তখন এই নাটকটিকে আবিষ্কার করেছিলাম। ততদিনে টোপন আর রবিনদের নৌকা নিয়ে অভিযান শুরু হয়ে গেছে। কিসের অভিযান অত কিছু জানতাম না। কিন্তু তাও দেখা শুরু করেছিলাম। সত্যি কথা বলতে কি কার্টুন নেটওয়ার্কের পরে শুধু এই একটা চ্যানেলকেই মনে হয় ভালবাসতে পেরেছিলাম। বেশির ভাগ প্রোগ্রামই ভালো লাগতো। দুপুরে খাওয়ার পর এমনিতেই কোন কাজ থাকতো না। তাই টিভি দেখা ছিল যাকে বলে বাধ্যতামূলক; স্কুল যেহেতু তখন ছুটি। একে তো বাচ্চাকাচ্চাদের জিনিস তার উপর একটা ছেলের হাত কাটা। দেখেই আগ্রহ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু নাটকের শেষ পর্যন্ত আর দেখতে পারিনি। কেন সেটা ঠিক মনে নেই। স্কুল খুলে যাবার জন্য আর না হয় একুশে টিভি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য – এই দুটোর কোন একটা কারণ হবে হয়তো। উফ! কী যে একটা দুঃখ পেয়েছিলাম এই চ্যানেল বন্ধ হয়ে যাওয়ার জন্য তা ভাষায় প্রকাশ করার মত কোন ক্ষমতা নেই।
সে যাই হোক। এই কয়েক বছর পর বই মেলা থেকে বইটা কেনা হল। এই আনন্দও ভাষায় প্রকাশ করার মত না। টোপন, রবিন, কাসেম, টিপু, নান্টু, হীরা, মিশু সবার সাথে ভালোই জমে উঠলো অ্যাডভেঞ্চার। আমি যখন একটু বেশি ছোট ছিলাম মানে ক্লাস ওয়ানে পড়তাম তখন আমরা ছিলাম দক্ষিণ বনশ্রীর এক বাসা তে। ঐ এলাকায় তখনও ভালো ��সতি গড়ে উঠে নি। আমাদের বিল্ডিং এর কাছেই ছিল এক পুকুর। আর বাসার সামনে ছিল বিশাল মাঠ। এই বই পড়তে গেলে আমি মনের অজান্তে প্রথম থেকেই ঐ বাসাকেই কল্পনা করে এসেছি। আমাদের বিল্ডিং টা টোপনদের বাসা, পাশের বিল্ডিং টা রবিনদের আর ঐ এলাকা ছাড়িয়ে একটা গলিতে পরিচিত এক আপুর বাসা ছিল সেটা টিপুদের বাসা। আর বাদ বাকি চারটা পরিচিত বাসা ছিল নান্টু, হীরা, মিশু আর কাসেমদের বাসা। ও হ্যাঁ, আমাদের একটা শত্রুবান্ধবীর বাসা ছিল, সেটাকে বানানো হয়েছিল কাশেমদের বাসা। তার সাথে আমাদের ছিল একইসাথে দহরম-মহরম আর দা-কুমড়োর সম্বন্ধ। ব্ল্যাক মার্ডার টিমের সাথে কাশেমের সম্পর্কও অনেকটা এমন কিনা।
অনেক দিন পর এই বই পড়তে পড়তে আমি আবিষ্কার করলাম, আমাদের সেই পুরানো বাসার সামনের মাঠে স্পুটনিক বয়েজ ক্লাব আর ঠাকুরপাড়ার সেই ঐতিহাসিক ম্যাচ আর সেই পুকুরে ব্ল্যাক মার্ডার দলের নৌকায় করে ঘুরে বেড়ানো, সবকিছু আমি চোখ বন্ধ করলে এখনও দেখতে পাই। হয়তো আগের মত স্পষ্ট না, কিছুটা ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। আসলে ওই সময়টা আমার অনেক বেশি প্রিয়। ছোটবেলায় সেই বাস���য় কাটানো সময়গুলো, হাকারবিন দেখার দিনগুলো আর প্রথমবার এই বই পড়ার মূহুর্তগুলো। জানি না এমন সব বই আমি আর কখনও পড়তে পারবো কিনা কিংবা পড়তে পারলেও এইভাবে কল্পনা করতে পারবো কিনা। মাঝে মাঝে মনে হয় জীবন এত কঠিন না হলেও পারতো !! -
হাতকাটা রবিন
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
একদম প্রথমদিকে পড়েছিলাম বইটি। বেশ প্রিয় একটা বই। এই নিয়ে চতুর্থবার পড়া হলো।
কাহিনি-সংক্ষেপ-
ছয়-সাত জন বন্ধু। তাদের বিশ্বাস পাশের বাসায় একবার বন্ধু আসলে পরেরবার শত্রু আসবে। শত্রুর পর আবার বন্ধু। ঠিক তেমনই হয়। শত্রুর পর বন্ধু আসে। কিন্তু নতুন বন্ধুর একহাত কনুইয়ের নিচে কাটা। নাম তার হাত কাটা রবিন।
তাদের বন্ধুত্ব খুব জলদি হয়। কিন্তু এই বিচ্ছু ছেলে একে একে তাদের পুরোদলেরই লিডার বনে যায়। তারপর একে একে ফুটবল খেলা। বিভিন্ন মজার ঘটনা।
কিন্তু একরাতে ধূমকেতু দেখতে গিয়ে তারা এক ডাকাত দলের সন্ধান পায়। এবং ধীরে ধীরে তাদের হাতছাড়া হয়ে আবার সেই ডাকাত দল। একের পর এক বাঁধা তাদের সামনে। তারা কি শেষ পর্যন্ত পারবে ডাকাতদলকে ধরতে?
জানতে হলে পড়ে ফেলুন ‘হাতকাটা রবিন’
পাঠ-পতিক্রিয়া-
ক্লাস সেভেন প্রথম পড়েছিলাম বইটি। তারপর দ্বিতীয়বার, তারপর তৃতীয়বার। এবং এই নিয়ে চতুর্থবার পড়ে শেষ করলাম বইটি। প্রথম তিনবারের মতোই বেশ উপভোগ্য ছিল বইটি।
প্রথম থেকে শেষ অব্দি মজাই মজা। বইটা যে শুধু শিশু কিশোরের, তা কিন্তু নয়। এটা বড়রাও পড়তে পারবেন। বড়রা পড়ে তাদের হারিয়ে ফেলা শৈশব-কৈশোরে আবার সাময়িকভাবে ফিরে যেতে পারবেন।
পরিপক্ব হাতের লেখনীও বইটা পড়তে আরেকটু মজা দেবে।
মনে রাখার মতো একটা বই
চরিত্রায়ন-
এই বইয়ের মূল চরিত্র কয়েকটি ছেলে। গল্পকথক টোপন, হাতকাটা রবিন, মিশু, হীরা, টিপু, নান্টু, কাশেম,সলিল। এই কয়েকটি চরিত্র নিয়ে পুরো কাহিনি এগিয়ে যায়। আর আলাদা করে মনে রাখার মতো কোনো চরিত্রই নেই।
হাতকাটা রবিন
মুহাম্মদ জাফর ইকবাল
জনরা-কিশোর এডভেঞ্চার
রেটিং-৪.৫/৫ -
অনেক ভালো লেগেছে .........।
-
রবিনদের এলাকার মত একটা একটা এলাকায় যদি থাকতে পারতাম আর যদি আমারও এমন সব বন্ধু থাকত তাহলে অ্যাডভেঞ্চার সব অভিযানে বের হয়ে যেতাম।
-
বড় দেরি করে ফেললুম!
-
মাঝে মধ্যে যখন বুঝে উঠতে পারি না যে কোন বইটা পড়বো তখন মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার এর কোনো বই হাতে নিয়ে নাড়াচাড়া করি৷ সহজ, সরল, এবং সাবলীল। দ্রুত পড়া শেষ হয়ে যায়। আমার নিজের শৈশব এর সেরকম কোনো ভালো স্মৃতি নেই। অনেক সময় শৈশব এর কথা মনে করতে ইচ্ছেও হয়না। কিন্তু মনে পড়ে যায়, রাগ লাগে, দুঃখ হয়, মন বিষন্ন হয় এবং ভাবি একটা সুন্দর শৈশব ঠিক কেমন হয়? শৈশব এর এই যে আনন্দমাখা দিনগুলো এটা শুধু বই পড়েই জানতে পারি। এবং সেই বইগুলোর লেখক মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যার। বেশ অনেকদিন পর একটা কিশোর উপন্যাস পড়া হলো৷ বইটাও সুন্দর ছিলো৷ সবার চরিত্র ভালো লেগেছে। আর শেষের এডভেঞ্চার এর থেকেও শুরু থেকে ওদের বন্ধুত্ব যেভাবে দেখানো হয়েছে সেটা বিশেষ ভালো লেগেছে।
-
ভয় দেখানোর জন্য "
ঘ্রাঁ ঘোঁ ঘ্রাঁ ঘোঁ নাকঁ কাঁটা পেঁট ফুঁটো হাঁদা
ভিঁন পাড়াঁতে ঘুঁরিস কেঁন কাঁসেম হাঁরামাজাঁদা
নাঁক খসবেঁ চোঁখ ফুলবেঁ কিকঁকিড় মিঁককিড় ধাঁ
রক্তঁ দিঁয়ে চুষেঁ খাব ঘাড় কলঁজে পাঁ …।"
কিংবা
" বাসায় গিয়ে রীনা, স্বপ্নাদের সাথে বুড়ী-চি খেলগে—যা!" এসব অনেকটাই ছেলেবেলার কথা মনে করিয়ে দেয়৷ সেই সাথে মনে করিয়ে দেয় ছোট্টবেলায় ইকবাল স্যারের এই কিশোর উপন্যাসগুলো পড়ে রঙিন স্বপ্ন আর কল্পনার রাজ্যে হারিয়ে যাবার কথা। -
জাফর ইকবাল স্যারের সব বইই আমার ভালো লাগে। তবে আমি তপু, রাশা, স্কুলের নাম পথচারী, এক ডজন আধজন, দুষ্টু ছেলের দল ইত্যাদি ইত্যাদি বেশি ভালো লেগেছে।এবার মনে হচ্ছে ওগুলোর সঙ্গে এটাও যোগ করতে হবে!(গল্পের নাম হাত কাটা রবিন হলেও রবিন কে বেশি ভালো লাগেনি)।
-
I have a scary memory with this book... i had first read this book when I was 10/11 years old... it took me almost a year to finish this book because it was my first novel...!!😅
-
আমার পড়া সেরা কিশোর পাঠ্য উপন্যাস গুলির একটা। শেষের দিকে ডাকাত ধরার ব্যাপারটা না থাকলেই ভালো হতো। ৪.৫/৫
-
এর আগে পড়েছিলাম দীপু নাম্বার টু। এবারে হাত কাটা রবিন। দুটোই কিশোর দের পড়ার জন্যে বেশ ভাল। বেশ একটা এডভেঞ্চারের স্বাদ আছে। জদিও দীপু নাম্বার টু আমার আর একটু বেশি ভাল লেগেছিল।
-
দারুণ একটা অভিযান ছিল হাকার-বিনের সাথে ;)
-
Like it.