
Title | : | স্পর্শ |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | - |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 192 |
স্পর্শ Reviews
-
বুদ্ধিদীপ্ত অথচ নরম, আবেগমথিত অথচ গতিময় - এমন আপাতদৃষ্টিতে বিপরীতধর্মী বেশ ক'টি বৈশিষ্ট্য একত্র হয়েছে এই উপন্যাসে।
কী নিয়ে এই কাহিনি?
ইলিয়েনা রোজেনবার্গ মৃত্যুর আগে বিপুল সম্পত্তি দিয়ে গেলেন প্রাক্তন পাইলট হিরণ্ময় হালদার-কে। ইলিয়ানা'র ইচ্ছাপূরণের দায়িত্ব পেল জরিনা ইসমাইল। তার অনুসন্ধানে বেরিয়ে এল ধ্বংস আর মৃত্যুর মধ্যেও ধিকিধিকি জ্বলে থাকা জীবনের এক অদ্ভুত গল্প।
কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের গদ্য সাবলীল, কাব্যিক, গালিবের বয়েতে সমৃদ্ধ। লেখাটা পড়তে বেশ ভালো লেগেছিল। কিন্তু এই লেখকের সাম্প্রতিক বেশ কয়েকটি লেখার মতো এটিও ভয়ানক সরলরৈখিক, ক্রাইসিস-বর্জিত, আন্ডারহোয়েল্মিং, শেষ বিচারে কেমন যেন লো বিপি টাইপের।
সব মিলিয়ে তিন তারার বেশি দেওয়া গেল না। -
লকডাউন বইপাঠ পর্ব ১:
বই: স্পর্শ ( উপন্যাস)
লেখক: কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়
প্রকাশক: আনন্দ
মূল্য: ২০০ টাকা
কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়ের লেখার সঙ্গে প্রথম পরিচয় ঘটে ওনার ভৌতিক উপন্যাস 'মায়াভিলা' র মাধ্যমে। তবে সেই উপন্যাসটা একটা হিন্দি সিনেমার স্ক্রিপ্টের থেকে বেশি কিছু লাগেনি। তবে লেখকের লেখার গুণে পুরো উপন্যাসটাই পড়ে ফেলেছিলাম।
তারপর বহুদিন পরে এই লকডাউনে পড়ে ফেললাম ওনার লেখা ' স্��র্শ' উপন্যাসটি। মনকে ভালো লাগার স্পর্শে মুগ্ধ করে রাখলো এই উপন্যাস। সম্ভবত কোনও একটি আনন্দ গোষ্ঠীর শারদীয়াতে এই উপন্যাসটি পূর্বে প্রকাশিত হয়েছে।
হিরন্ময় হালদার আকাশে উড়তে চেয়েছিল। তার স্বপ্ন ছিল একজন ফ্লাইং অফিসার হওয়ার। তার সেই স্বপ্ন পূরণও হয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময় তিনি হয়েছিলেন ব্রিটেনের রয়্যাল এয়ার ফোর্সের পাইলট। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধটা ছিল আকাশের যুদ্ধ। ব্রিটিশ রয়্যাল এয়ার ফোর্সের সঙ্গে জার্মান বিমানবাহিনীর যুদ্ধ। এই যুদ্ধে লড়তে গিয়েই হিরন্ময় জার্মান সৈন্যদের হাতে যুদ্ধবন্দী হন। তার স্থান হয় স্ট্যালাগ লুফত ওয়ানের নথিভুক্ত যুদ্ধবন্দী হিসাবে। এই স্ট্যালাগ লুফত ওয়ানেই তার পরিচয় হয় ইলিয়ানা রোজেনবার্গ নামক এক সুন্দরী ইহুদি যুদ্ধবন্দিনীর সঙ্গে। পরবর্তীতে হিরন্ময় হালদার স্ট্যালাগ লুফত ওয়ান থেকে পালিয়ে দেশে ফিরে আসতে সক্ষম হয়। স্ট্যালাগ লুফত ওয়ান থেকে পালানোর সময় সে মুক্ত করে ইলিয়ানা রোজেনবার্গকেও। ইলিয়ানা রোজেনবার্গের কাছে হিরন্ময় হালদার ছিলেন ঈশ্বরের পাঠানো এক বিস্ময়। ইন্ডিয়া দেশটার নামও জানতো না ইলিয়ানা রোজেনবার্গ। শুধু জানতো পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ প্রেমের সৌধ আছে সেখানে, তাজমহল। আর সেই দেশটায় থাকেন তার সেই সৈনিক- 'হিরন্ময় হালদার' যে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে তাকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকালীন সময় জার্মানদের হাত থেকে মুক্ত করে তার বন্দিনী জীবনের অবসান ঘটায়।
এই ইহুদি ইলিয়ানা রোজেনবার্গ তার মৃত্যু শয্যায় থাকাকালীন তার শেষ ইচ্ছাপত্রে তার সারাজীবনের সঞ্চিত অর্থের একটা বিরাট অংশ দিয়ে যেতে চান তার জীবনে দেখা শ্রেষ্ঠ বীর হিরন্ময় হালদারকে।
জার্মান কনস্যুলেট ল-ফার্ম ম্যাকলিন এন্ড স্টুয়ার্ডকে নিয়োগ করেন ইলিয়ানা রোজেনবার্গের এই শেষ ইচ্ছাপূরণের জন্য। যার তদন্তের ভার ও দায়িত্ব পায় জরিনা ইসমাইল। জার্মান এমব্যাসির নিয়ম অনুযায়ী হিরন্ময় হালদার যেহেতু মারা গেছেন সেক্ষেত্রে তার উত্তরসূরিদের মধ্যে এই টাকার অংকটা সমান ভাগে ভাগ হয়ে যাবে। কিন্তু তদন্ত করতে গিয়ে জরিনা ইসমাইল খোঁজ পায় যে হিরন্ময় হালদারের এই উত্তরসূরীরাই তাকে তার শেষ বয়সে তার নিজের বাড়ি থেকে রীতিমতো কোর্ট কাছারি করে আইনবলে বিতাড়িত করেন। এই উত্তরসূরীরাই এখন ইলিয়ানা রোজেনবার্গের হিরন্ময় হালদারকে দিয়ে যাওয়া টাকা পাওয়ার জন্য লোলুপ হয়ে ওঠে। কে তার কতখানি কাছের ছিল প্রমাণ করার জন্য উঠেপড়ে লেগে যায়। তবে কি ইলিয়ানা রোজেনবার্গের সারাজীবনের সঞ্চয়ের টাকা যা তিনি হিরন্ময় হালদারকে দিয়ে যেতে চেয়েছিলেন তা আত্মসাৎ করবে তার লালসায় পরিপূর্ণ উত্তরসূরিরা?
একটা প্রশ্ন পাঠকের মনে নিরন্তর ঘোরে সারা উপন্যাস জুড়ে। হিরন্ময় হালদার ও ইলিয়ানা রোজেনবার্গের মধ্যে ভাষাগত প্রতিবন্ধকতা ছিল। তারা একে অপরের ভাষা জানতো না ও বুঝতো না। পরস্পরের ভাষা না বোঝা দুই মানব মানবী নিজেদের মধ্যে কী ভাষায় কথা বলতেন? উত্তরটা পাঠকমন যেন নিজেই খুঁজে নেয়। ' স্পর্শের' ভাষায়। -
9/10
-
অন্তর কে স্পর্শ করার মতোই একটি লেখা❤️
-
One of my favourite novel.