
Title | : | রাধিকা |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | 8177566954 |
ISBN-10 | : | 9788177566956 |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 175 |
Publication | : | Published January 1, 2008 |
এ উপন্যাসের সূচনা অষ্টাদশ শতকে। অষ্টধাতুর রাধিকা তার কেন্দ্র। নবদ্বীপের কুলদানন্দ গোস্বামী স্বপ্নে দেখলেন তাঁর কুলবিগ্রহ রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তি বিপন্ন। রক্ষাকল্পে স্থানান্তরে প্রতিষ্ঠিত হল মূর্তি। কিন্তু কালে মূর্তি চুরি গেল। প্রায় দু’শতক পর রহস্যময়ভাবে এ বংশের এক কন্যার জন্মসম্বন্ধ ঘটে গেল শ্রীরাধিকার সঙ্গে। একবিংশ শতকে এসে আমেরিকার ডেট্রয়েটে তার উন্মোচন হল।
সময়কাল আঠারোশো শতাব্দীর মধ্যভাগ। পলাশির যুদ্ধের কিছুদিন আগে নবদ্বীপের এক বৈষ্ণব কুলদানন্দ গোস্বামী এক অদ্ভুত স্বপ্নে দেখেন তাঁর কুলবিগ্রহ রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তি বিপন্ন। তিন ছায়ামূর্তি হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে অষ্টধাতুর শ্রীরাধিকাকে। নবদ্বীপের সেই অস্থির রাজনৈতিক সময়ে তিনি ঠিক করেন ইংরেজ, নবাব এবং ব্রাহ্মণ পণ্ডিতের হাত থেকে কুলবিগ্রহকে রক্ষা করার একমাত্র উপায়, গোপনে রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তিকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়া। তাঁর অনুগামী শ্রীশনারায়ণ গোস্বামীর সাহায্যে দ্বারকেশ্বর নদীর কূলে শ্যামডিহিতে প্রতিষ্ঠিত হল রাধাকৃষ্ণজীউর যুগলমূর্তি।
বিংশ শতাব্দীর আশির দশক এই উপন্যাসের দ্বিতীয় সমকাল। শ্যামডিহি রাধাকৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্টের প্রধান তখন শ্রীশনারায়ণের বংশধর প্রবীণ শশাঙ্কনারায়ণ গোস্বামী। এই সময়কাল শেষ হয় দুটি খুন, অষ্টধাতুর রাধামূর্তি চুরি এবং এক শিশুকন্যা জন্মের মধ্যে। চুরির ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যায় শশাঙ্কনারায়ণ, শীর্ষনারায়ণ, গোপাল চক্রবর্তী এবং শর্মিষ্ঠার নাম।
উপন্যাসটির তৃতীয় সময়কাল বর্তমান সময়ের আমেরিকার মিশিগান প্রদেশের ডেট্রয়েট শহরতলির নর্থভিল। প্রৌঢ় শীর্ষনারায়ণ এ সময়ে নিউ ইয়র্কে থাকেন। তাঁর মেয়ে রাধিকা ডেট্রয়েটে পড়াশুনার জন্য থাকে। রাধিকা এবং তার বন্ধু্ কণিষ্ক খুঁজে পায় পঁচিস বছর আগে শ্যামডিহি মন্দির থেকে চুরি হয়ে যাওয়া রাধামূর্তিটি।
কি হয়েছিল রাধামূর্তিটির শেষপর্যন্ত? কী ছিল এক ছোট্ট শিশুকন্যার জন্ম রহস্য? কী ছিল রাধিকার সঙ্গে তার সম্পর্ক?
রাধিকা Reviews
-
ভাবুন আপনি উচ্চশিক্ষিত যুক্তিবাদী একটি গ্রামে গিয়ে পড়েছেন যেখানে মুরুব্বীরাই শেষ কথা বলে। এক হয় আর এক কথা রটে, এবং এই রটনা এতই মারাত্মক যে আপনার আধুনিক চিন্তাভাবনা প্রয়োগ করে তাকে "just ignore" করতে পারবেন না। চারপাশে কেউ যুক্তি বোঝে না। 🤷কোনো যুক্তি ছাড়াই গোঁজামিল মার্কা সিদ্ধান্তের লাইন লাগিয়ে শেষে সমস্ত ঘটনার দোষ আপনার ঘাড়ে এনে চাপানো হল। এই অসহায়তা যদি জীবনে কোনোদিন অনুভব করে থাকেন তাহলে এই গল্পটি আপনার মনে ধরবে। 🙇
নতুবা শুধুমাত্র একটি "পুরনো বাংলা সিনেমার খলনায়ক" দের জড়ো করে বানানো নাটক মনে হবে। মনে হবে চরিত্র গুলোতে কোনো shades নেই। 🥱
🍑 যাই হোক, গল্পটি বেশ রোমাঞ্চকর। দুটো জেনারেশনের গল্প সমান্তরাল ভাবে এগিয়ে নিয়ে গিয়ে সুন্দর ভাবে তাদের মিলিয়ে দেওয়া যে একটা শিল্প সেটা এই গল্প পড়লে বোঝা যায়।
আগের জেনারেশনের দুটো খুন এবং একটা অষ্ট ধাতুর মূর্তি চুরি, তার দায় চাপানো হয় একজনের ঘাড়ে। পরের জেনারেশন এসে সেই অমীমাংসিত সমস্যার ইতি টানে।
🍑 গল্পের শেষে traditional happy ending নেই।🤷 গল্পের নায়িকা তথা নেপথ্যে লেখক সে কথা বলেই দিয়েছেন। তবে আপনার বুদ্ধিমান মস্তিষ্ক আপনাকে বলবে জীবনে এরকমই তো হয়। সবদিক সামলে আমরা একটা গড় solution বের করি সব সমস্যার।
আর আপনার যদি সেই "সবাই সুখে শান্তিতে থাকতে লাগল" গোছের গল্প প্রয়োজন হয় তাহলে বলব "প্লিজ বইটাকে রেহাই দিন। আপনার পড়ে কাজ নেই।"😜
সব শেষে বল��� কি খারাপ লেগেছে: 😫
গল্পের মাঝে মাঝে খোলের আওয়াজ বোঝাতে যে "তাক তুক তাক তুক" ধরনের কথা গুলি ব্যবহার করেছেন সেগুলো খুবই cringy। নিজে বাজাতে জানি তাই বললাম। বড় গা রিরি করেছে ওগুলো পড়তে গিয়ে। 😫😫 -
▪️উপন্যাসের কালসীমা তিনটি। প্রথমটি শুরু হচ্ছে ১৭৫৭ সালেরও আগে। পলাশীর যুদ্ধ শুরু হয়নি তখনও। নবদ্বীপের এক বৈষ্ণব কুলদামােহন গােস্বামী অদ্ভুত এক স্বপ্নে দেখেন যে তাঁদের কুলবিগ্রহ অষ্টধাতুর শ্রীরাধিকার মূর্তিকে তিন ছায়ামূর্তি হরণ করে নিয়ে যাচ্ছে। সেই কুলবিগ্রহকে রক্ষা করার জন্য গােপনে দেবীমূর্তিকে অন্যত্র পাঠিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শ্রীশনারায়ণের মাধ্যমে। অবশেষে অনেক বাধাবিপত্তি অতিক্রম করে দ্বারকেশ্বর নদের বাঁকে শ্যামডিহিতে প্রতিষ্ঠিত হয় অষ্টধাতুর মূর্তি ও কষ্টিপাথরের মাধব মূর্তি।
পরবর্তী দ্বিতীয় সময়কালে আছেন শ্যামডিহি রাধাকৃষ্ণ মন্দির ট্রাস্টের প্রধান শশাঙ্কনারায়ণ গােস্বামী যিনি অনুরূপভাবে একই স্বপ্ন দেখেন এবং এই স্বপ্নকে কেন্দ্র করে ঘটে যায় চমকপ্রদ কিছু ঘটনা। রহস্য আরও ঘনীভূত হয় যখন প্রায় একইসাথে তাঁর ছেলে শঙখনারায়ণ খুন হয়, সেই অষ্টধাতুর রাধামূর্তিটি চুরি হয় এবং শর্মিষ্ঠার গর্ভে এক শিশুকন্যার জন্ম হয়। একে একে কাহিনী পরম্পরায় উঠে আসে শশাঙ্কনারায়ণ, শীর্ষনারায়ণ, শুভ্রনারায়ন, গােপাল চক্রবর্তী, বাসন্তী এবং বিশু।
তৃতীয় এবং সর্বশেষ সময়কাল আসে এই ঘটনার পঁচিশ বছর পরে যখন সেই শিশুকন্যা রাধিকা বড় হয় আমেরিকায় এবং তাঁর বাবা শীর্ষনারায়ণ ও প্রেমিক কনিষ্ক মিলে খুঁজে বের করে রাধিকামূর্তির ইতিহাস ও গােটা মূর্তিটাকেই।
পূর্বপুরুষদের কলঙ্কমোচনে এবং রাধা-বিগ্রহ চুরির রহস্য সমাধান করতে শেষমেশ ‘রাধিকা’ ফিরে এল শ্যামডিহিতে....
▪️উপন্যাসটিকে ঠিক থ্রিলার বলা যায় না... থ্রিল আছে ঠিকই, কিন্তু এটি প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্য লেখা রহস্য উপন্যাস হিসেবে যথার্থ । প্লট বা ন্যারেটিভ দুটোই বেশ ভালো লেগেছে এই উপন্যাসটিতে । লেখক অত্যন্ত সহজে একাধিক পর্যায়ক্রম সামলে পাঠককে প্রায় ছুটিয়ে নিয়ে গেছে পরিণতির দিকে । ইতিহাস থেকে রাজনীতি, অন্ধবিশ্বাস থেকে আদিম রিপু, ভক্তি থেকে লােভ... সবকিছুই মিশিয়েছেন দারুণ ভাবে । সবমিলিয়ে বেশ সুখপাঠ্য । -
এককথায় দারুণ।
একটু ইতিহাস, বেশ অনেকটা প্রেম, খুন-জখম, রাজনীতি সব মিলিয়ে জমজমাট। একাধিক টাইমলাইন মিলিয়ে দেওয়াও আছে। অনেকগুলো একইরকম নাম নিয়ে একটু গুলিয়ে ফেলছিলাম, কিন্তু শেষ অবধি সব জট ছেড়ে গেছে।
ভালো লাগলো। -
ভালো লাগলো ..অনেক দিন পর একটা ভালো হিস্টোরিক্যাল থ্রিলার. এরিথমেটিক এর হিসেবে সবটা না মিলে বরং ভালোই হলো. তবে সবাই মোটামুটি হ্যাপি এন্ডিং পেলেও শীর্ষর জন্য একটু মনখারাপ রয়ে গেলো , যাগগে .
পুনশ্চ : গল্পের হিস্টোরিক্যাল accuracy নিয়ে তর্কে গেলামনা . -
7/10
-
প্রাপ্তবয়স্ক পাঠকের জন্য রচিত কোনো রহস্য উপন্যাসকে জমজমাট বলতে গেলে তাতে কী-কী বৈশিষ্ট্য খুঁজে পাওয়া দরকার?
১. গতি: এই উপন্যাসটি অত্যন্ত সহজে একাধিক টাইমলাইন সামলে পাঠককে প্রায় ছুটিয়ে নিয়ে গেছে পরিণতির দিকে। তাই এই চেকবক্সে টিক দেওয়া গেল।
২. প্লট: ধর্ম, অর্থ, কাম, ও মোক্ষ, চারটি জিনিসেরই সার্থক সমন্বয় ঘটেছে এই কাহিনির ন্যারেটিভে। ইতিহাস থেকে রাজনীতি, অন্ধবিশ্বাস থেকে আদিম রিপু, ভক্তি থেকে লোপ, এসবই এখানে মিশেছে অনুপান মাফিক। তাই এই মাপকাঠিতেও উপন্যাসটি পাসড উইথ ডিস্টিংশন।
৩. চরিত্রচিত্রণ: এই ব্যাপারটায় চাপ আছে। এমন বিস্ময়কর রকম বিরক্তিকর চরিত্রের সমাবেশ আমি খুব কম উপন্যাসে দেখেছি যেখানে প্রায় প্রতিটি চরিত্রই জাগতিক ত্যাঁদড়ামির পাশাপাশি অবিশ্বাস্য রকম বোকা-বোকা আচরণ করেছে। সত্যি বলছি, কাহিনিতে যারা খল চরিত্র হিসেবে এসেছে, তাদের আচরণে আমি ���ুদ্ধি ও বাস্তবের স্পর্শ তথাকথিত নায়ক ও নায়িকাদের তুলনায় অনেক বেশি মাত্রায় পেয়েছি। আর এই হাস্যকর ভাবে সস্তা সিরিয়াল-অ���ুসারী চরিত্রগুলোর জন্যই লেখাটা আমার কাছে শেষ অবধি আশির দশকের হিন্দি সিনেমার মতো অগভীর এন্টারটেইনার (একবারের জন্য) রয়ে গেল।
করার মতো আর কিছু না থাকলে, এবং হাতের কাছে এটিকে পেলে অবশ্যই পড়ুন। -
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট , প্রেম... নিয়ে বেশ দারুন একটা উপন্যাস।
তবে একটু সেনসিটিভ ।