
Title | : | দীপু নাম্বার টু |
Author | : | |
Rating | : | |
ISBN | : | - |
Language | : | Bengali |
Format Type | : | Hardcover |
Number of Pages | : | 87 |
Publication | : | First published July 1, 1984 |
"আমি যখন পদার্থ বিজ্ঞানে ডি.এইচ.ডি করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি তখন সেখানে আমি একেবারেই একা, বাংলায় কথা বলার একজন মানুষও নেই। পড়াশোনার প্রচন্ড চাপ, সিয়াটলের মেঘে ঢাকা ধূসর আকাশ, গুড়িগুড়ি বৃষ্টি, কনকনে শীত সব মিলিয়ে খুব মন খারাপ করা নিঃসঙ্গ একটা পরিবেশ। একাকীত্ব দূর করার জন্যে আমি তখন কল্পনায় একটা কিশোর তৈরি করে নিয়েছিলাম। তার নাম দিয়েছিলাম দীপু। যখন মন খারাপ হতো সেই কিশোরটি তখন আমাকে সঙ্গ দিতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃষ্টিভেজা ক্যাম্পাসের পিঠে ব্যাকপেক নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই কাল্পনিক চরিত্রকে তা আপনজনদের প্রায় সত্যিকার মানুষদের মতো দেখতে পেতাম। এক সময় সেই কিশোর আর তার প্রিয় মানুষদের সুখ-দুঃখ আর অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনীটা লিখতে বসেছি, গভীর ভালোবাসা নিয়ে লিখে শেষ করেছি। লেখা শেষ হলে নাম দিয়েছি দীপু নাম্বার টু!
দীপু নাম্বার টু এখনও আমার খুব প্রিয় উপন্যাস। আমার খুব সৌভাগ্য এই দেশের ছেলেমেয়েরা এই উপন্যাসটিকে ঠিক আমার মতোই গভীর ভালোবাসার সাথে গ্রহণ করেছিল। প্রায় তিন দশক আগে লেখা এই উপন্যাসটি আজ আবার নূতন আঙ্গিকে সময় প্রকাশন থেকে বের হতে যাচ্ছে, এই সময়টিতে আমি আমার শিশু কিশোর পাঠক পাঠিকাদের গভীর মমতার সাথে স্মরণ করছি।"
দীপু নাম্বার টু Reviews
-
দীপু নাম্বার টু পড়ে অন্তত ঘন্টা দুয়েক আমিও ছিলাম আমার কৈশোরে। খুব ছোটবেলায় "দীপু নাম্বার টু" মুভিটা দেখেছিলাম। অল্প বয়সে মুভিটা মনে বেশ দাগ কেটেছিলো। আজ বইটাই খুব পড়তে ইচ্ছে হলো। তাই পড়েও ফেললাম। সেই আগের মতই মনে দাগ কেটে গেল । কিশোরদের এডভেঞ্চার কাহিনী বইটির একটি আকর্ষনীয় দিক। মূলত এটি এডভেঞ্চার উপন্যাস হলেও দীপুর জীবনপ্রবাহের ঘটনাগুলো আমার বেশী ভাল লেগেছে।
দীপু চরিত্রের পাশাপাশি দীপুর বাবাকে প্রচন্ড ভাল লেগেছে ব্যক্তিগত ভাবে। বাস্তববাদী এসব মানুষ আর তাদের সন্তানেরা যেন সবসময় ভাল থাকে। বন্ধুত্ব, একতা, সৎ সাহস, দৃঢ়তা। যান্ত্রিক জীবনে কৈশোরের এই রূপগুলো আজ কেন যেন বিবর্ণ। -
গল্পের নাম ভুমিকায় আছে দীপু নামের এক কিশোর। যাকে প্রতিবছর তার বাবার চাকুরীর বদলির জন্য স্কুল চেঞ্জ করতে হয়। কোন এক যায়গায় মনে হয় না সে ১ বছরের বেশী থেকেছে এবং একই স্কুলে ২ টা ক্লাস পেয়েছে। তাই হয়ত ভাল ছাত্র হবার পরও তার রোল বার বার পিছনে চলে যায়। কিন্তু বই এর নাম দীপু সেটা বোধগোম্য কিন্তু "দীপু নাম্বার টু" কেন? কেননা এবার (৮ শ্রেনীতে) সে যেখানে এসেছে সেখানে আগে থেকেই দীপু নামের একজন ছিলই তাই নাম নিয়ে বিভ্রান্তি যাতে না হয় তাই তার নাম দীপু নাম্বার টু। নতুন পরিবেশে সভজেই সে মানায়ে নেয়। বন্ধু হয়ে ওঠে সে সবার, একজন ব্যাতীত, তারেক। যদিও তারেক আর দীপুকে নিয়েই কাহিনী এগিয়ে যায়। মাঝে আভির্ভাব হয় দীপুর মায়ের। কিশোর মনস্তত ফুটে উঠেছে দীপু নাম্বার টু এর মাধ্যমে।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ বই অনুসারে বানানো মুভিটা মনে হয় দেখা হয়ে গেছে কয়েকবার ছোট থাকতে। দীপুরে চেহারা এখনো ভুলতে পারিনি। তাই বই পড়ার সময় সিনামার সব চরিত্রগুলো নাম ভুমিকায় চোখের সামনে ঘোরা ফিরা করছিল বার বার। -
I think I loved both the movie and the book. A rare one for me.
-
ছোট বেলায় যে কয়টা মুভি দেখে সবচেয়ে বেশি মজা পেয়েছি দীপু নাম্বার টু তার মাঝে অন্যতম। প্রথমবারের মত বইটা পড়লাম। প্রতিটি লাইন পড়ার সময় চোখের সামনে কাহিনীগুলো ভেসে উঠছিল। খুবই চমৎকার একটি বই।
-
জাফর স্যারের বই বেশি পড়াটা ভালো না। অল্প পড়ে মুগ্ধ থাকুন। বেশি পড়লে সব ঘুরে ফিরে একই লাগবে।
-
ভাইয়া বললো, "আজকে দুপুরে টিভিতে 'দীপু নাম্বার টু' দেখাবে।"
আমি তখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি। 'দীপু নাম্বার টু' নিয়ে আমার কোন আগ্রহ নেই। বাসায় এই নামে একটা বই আছে। প্রচ্ছদে গর্তের সামনে একটা ছেলে উদ্বিগ্ন দৃষ্টিতে কী যেন দেখছে এরকম একটা ছবি দেয়া। প্রচ্ছদটা আমাকে আকর্ষণ করেনি। আমি ধরেই নিলাম সিনেমাটা মজার হবে না। ভাইয়া অনেক উৎসাহ নিয়ে দুপুরের আগে থেকেই টিভির সামনে বসে রইলো। একসময় 'দীপু নাম্বার টু' শুরু হলো এবং ঠিক সেসময় যে আপুটা আমাকে পড়ায় তিনি চলে এলেন। ভাইয়ার এতো উৎসাহ দেখে আমারো সিনেমাটা দেখার আগ্রহ হচ্ছিল। পড়ার মাঝখানে একবার উঁকি দিয়ে দেখে গেলাম, টিভিতে কী হচ্ছে। বিজ্ঞাপন ছাড়া কিছু চোখে পড়লো না।
পড়া শেষ হওয়ার পর, আরেকবার টিভির সামনে বসলাম। দীপু তার মায়ের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। মাঝখান থেকে দেখার জন্য কিছুই বুঝলাম না। একটু পর খেলার ডাক এলো। আমি দীপুকে তার মায়ের কাছে রেখে খেলতে চলে গেলাম।
এর অনেক দিন পর, ক্লাস সিক্সের বার্ষিক পরীক্ষা শেষে এক সন্ধ্যায় গর্তের সামনে দীপুর উদ্বিগ্ন দৃষ্টির প্রচ্ছদ দেয়া ওই বইটা পড়া শুরু করলাম। (এই বইটা ক্লাস থ্রি-ফোরে থাকার সময় একবার পড়ার চেষ্টা করেছিলাম। 'এত বড়' বই তখন পড়ার ধৈর্য্য হতো না। কয়েকটা প্যারা পড়ে সুন্দর করে রেখে দিয়েছিলাম।)
পরের দিন সকালে 'দীপু নাম্বার টু' শেষ হলো (শেষ না হলেই ভালো হতো)। আমি তখনো জানি না, আমার জীবনের প্রথম উপন্যাস আমি এই মাত্র পড়ে ফেললাম! আহা, কী অসাধারণ একটা বই!
এর কয়েকদিন পর, 'দীপু নাম্বার টু' সিনেমাটাও দেখি। চরিত্রগুলো একদম উপন্যাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে! -
লেখক প্রথমেই বলছিলেন দীপু নামের এই বালকটিকে তিনি কল্পনা করেছিলেন তার একটা বন্ধু হিসেবে। আমেরিকায় তিনি যখন একা, দীপুর চরিত্রটিই ছিলো তার সংগী।
কেউ বললে বিশ্বাস করবে না, বহুদিন দীপুকে আমিও নিজের বন্ধু হিসেবে কল্পনা করেছি। দীপুর মতো এডভেঞ্চার করতে চেয়েছি, দীপুর বন্ধুদের মতো বন্ধু খুঁজে বেরিয়েছি বছরজুড়ে।
একটা সাদামাটা কিশোরীর কল্পনার দীপু কখনোই ধরা দেয়নি বাস্তবে তবে কল্পনার দীপুও কম যায় না। এখনও জীবনের জাগতিক প্যারা খেয়ে গেলে এই বইটার কথা মনে পড়ে- মনে পড়ে দীপু বলেছিলো- জীবনে কখনো নালিশ করতে হয় না। যার নিজের কিছু করার ক্ষমতা নেই, সেই নালিশ করে। -
I have a pdf file of more than 2000 books, don't know how to share here. So posting here. Hope it helps....
https://drive.google.com/drive/folder... -
This is a children adventure book. Dipu , a boy who studies in 8th standard . Due to his father travelling new places mentality, Dipu can't attend a single school for more than a year. Every year his father take him to different places so he has to change school every time. The story begins with Dipu's new school life where Dipu was called as Dipu no.2 because there a boy named Dipu already exists. On his first day he got bullied by his fellow classmate Tariq, but later on they became best friends. They got to know about their mother's secrets where their bonding begins.Tariq gifted him a precious Panther's scuplture and Dipu got to know from Tariq that he has discovered a secret archeological excavation site of Maurya Dynasty, where treasure may be kept there. That's where the story revolves all together how they faced smugglers and excavated the site.
.
.
The story is a short read, narrated beautifully. Every characters are portrayed really well, mainly Dipu's father's character. One thing that the book teaches us ' the person who seems bad can be good at heart '. After reading the book I have got to know that there is a movie adaptation of this book, and I have watched that too. They adpated really well too. Though it's in bengali and subtitle is not available, hope you will like the book. Happy reading. -
ব্যক্তিগতভাবে উপন্যাস থেকে সিনেমার চরিত্রগুলো বেশি ফুটে উঠেছে বলে আমি মনে করি, যদিও আমি বই পড়ার চেয়ে সিনেমা কম দেখি। [ Personally I think it's cinema is too good than book, otherwise i watch some cinema than reading books. ]
-
This is among the books that I forced my sisters to read, I forced my cousins to read, I forced my cousin's kids to read. I'll force my children to read too one day, if God wills. Yes, you caught me on the day I'm sorting out books good-to-gift-children.
-
"দীপু নাম্বার টু" বাংলাদেশের কিশোর সাহিত্য জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। বই এবং সিনেমা দুইটিই এক অন্যতম আবেগের বিষয়। আমাদের সোনালি শৈশবের এক অন্যতম অংশ জুড়ে রয়েছে জাফর ইকবাল স্যারের এই অনবদ্য সৃষ্টি।
"দীপু নাম্বার টু" হাজার হাজার বছর ধরে বেঁচে থাকুক এদেশের তরুণ সমাজের মাঝে... -
আমার খুব প্রিয় একটা বই।
-
পিচ্চিকালের দুরন্তপনা আর গোয়েন্ধা গোয়েন্ধা ভাব।
-
Sometime man becomes alone after a long journey...
-
অসাধারণ কিশোর উপন্যাস। এটি জাফর স্যারের মাস্টার পিস।
-
" ক্লাসের সামনে দাঁড়িয়ে দীপুর হঠাৎ খুব খারাপ লাগল। প্রতি বছর ওর নতুন জায়গায় নতুন স্কুলে গিয়ে নতুন ক্লাসে ঢুকতে হয়। মোটামুটি ভাল ছাত্র সে–ফার্স্ট না হলেও পরীক্ষায় সেকেন্ড থার্ড হয় সহজেই। অথচ বরাবর ওর রোল নাম্বার হয় সাতচল্লিশ, না হয় আটান্ন। নতুন স্কুলে গেলে রোল নাম্বার তো পেছনে হবেই! রোল নাম্বারের জন্যে ওর তেমন দুঃখ নেই কিন্তু নিজের স্কুলে নিজের বন্ধুবান্ধবদের ছেড়ে নতুন জায়গায় অপরিচিত ছেলেদের মাঝে হাজির হতে ওর খুব বিচ্ছিরি লাগে। অথচ দীপুর প্রতি বছরই তা করতে হয়—ওর আব্বা শুধুমাত্র ওর জন্যেই নাকি এক বছর অপেক্ষা করেন, না হয় কোথাও নাকি তার তিন মাসের বেশি থাকতে ভাল লাগে না! পৃথিবীর সব কয়টা আব্বা একরকম, অথচ ওর আব্বা যে কেমন করে সম্পূর্ণ অন্যরকম হয়ে গেলেন, দীপু এখনও বুঝে উঠতে পারে না। "
আমার প্রথম বই পড়ার যাত্রা শুরু হয় কোভিড - ১৯ এর সময়, তাও জাফর স্যারের লিখা সায়েন্স ফিকশন তিতুনি এবং তিতুনি দ্বারা। এভাবে আমার বন্ধু রাশেদ, আমি তপু, কেপলার টুটুবি, দীপু নাম্বার টু এবং স্যারের লিখা ইত্যাদি বই পড়া।
আমার সবচেয়ে প্রিয় বইগুলোর মধ্যে "আমার
বন্ধু রাশেদ, আমি তপু ও দীপু নাম্বার টু এবং অবশ্যই
স্যারের লিখা ইত্যাদি ইত্যাদি বই। পৃথিবীতে প্রিয় লেখকের নিজেরও প্রিয় বই পড়ার মতো সুন্দর আর কিছু নেই। ❤️❤️ -
নিঃসন্দেহে ছোট্টবেলার প্রথম ভালোবাসা।এই বইয়ের মধ্য দিয়েই জাফর ইকবাল স্যারকে চেনা।এই বইটি পড���েই ক্লাস সিক্সে পড়া আমি প্রথম কোনো বই পড়ে কেঁদেছিলাম।আবারো পড়ে দেখতে হবে একই রকম অনুভূতি হয় কিনা।
-
বইটা পড়ার পর ৫ এপ্রিল এই লেখাটা ফেসবুকে পোস্ট করেছিলাম-
বলিতে বড়ই লজ্জা করিতেছে! তবুও সাহসের সঞ্চার করিয়া বলিয়াই ফেলি! ঘটনা হইল অবশেষে “দীপু নাম্বার টু” আমি পড়িলাম!! মুহম্মদ জাফর ইকবাল স্যারের কিশোর উপন্যাস এবং সায়েন্স ফিকশন এর সিংহভাগই আমার পঠিত। মাত্র দু’একটি কোন উপায়ে রেহাই পাইয়া গিয়াছে। কোন এক অদ্ভুত কারণে সেই অপঠিতদের ছোট্ট দলে “দীপু নাম্বার টু” স্থান লাভ করিয়া ফেলেছিল। ইহাই আমার লজ্জার কারণ! আশা করি তাহার জন্য যাহারা আমার বড় তাহারা বকিবেন না। লজ্জাও দিবেন না, এমনিতেই বড় লজ্জা পাইয়াছি! এই উপন্যাস অপঠিত রয়েছে এমন বাংলাদেশী পাঠক লণ্ঠন লইয়াও খুঁজিয়া বাহির করা দুষ্কর! এই বই অবলম্বনে নির্মিত চলচিত্রখানা পর্যন্ত আমি দর্শন করিয়া ফেলেছিলাম, বেশ কয়েকবার! কিন্তু পড়া আর হইতে ছিল না। অবশেষে গতপরশু মাঝ রাত্রিতে (ইংরেজি হিসেবে গতকল্য!) আমি এই শুভকাজ সম্পন্ন করিলাম। পড়িয়া বড়ই আনন্দ লাভ করিয়াছি। যদিও সাথে বুঝেছি, ইহা অনেক পূর্বেই আমার পঠন করা উচিৎ ছিল। তাহা হইলে আরও উপভোগ করিতে পারিতাম। যাহা হউক, আর কথা না বাড়াই! শুধু বলি এই লেখার কিছু কিছু স্থান বাস্তবিকভাবেই হৃদয় স্পর্শ করে।
(বিঃদ্র- যাহারা এই গুরুচণ্ডালী দোষে দুষ্ট লেখা পড়িয়া বিরক্ত হইতেছেন, তাহাদের কাছে এই অধম ক্ষমা প্রাথনা করিতেছে। আসলে আজিকে হঠাৎ করিয়াই সাধু ভাষা প্রয়োগ করিবার আকাঙ্ক্ষা জাগিয়া উঠিল মনে। তবে সাধুর সাথে চলিত মশায়ও মিলিয়া মিশিয়া গিয়েছেন। যাহারা ভাবিতেছেন ইহাও আমি ইচ্ছা করিয়া করিয়াছি, ভুল ভাবিতেছেন! আমি যে শৈশবকালে বাংলা ব্যাকরণ পড়িবার সময় পর্যাপ্ত মনোযোগ দেই নাই, ইহা শুধু তাহার বাস্তব প্রমাণ মাত্র! তাই আমার অল্প জ্ঞানের সল্প প্রয়োগে বাংলা ভাষার এই দুর্গতি!) -
জাফর ইকবালের এই গল্পটা নিয়ে ম্যুভিও করা হয়েছে। আমি ম্যুভিটাই প্রথমে দেখেছিলাম। গল্পসংক্ষেপ পড়তে চাইলে গুগলে সার্চ দিয়ে পড়তে পারেন। তাই আর গল্পসংক্ষেপ দিচ্ছি না।
ক্লাস টেন এ থাকতে পড়েছিলাম হয়তো। জাফর ইকবালের অন্যান্য কিশোর উপন্যাসের চাইতে দীপু নাম্বার ২, আমার বন্ধু রাশেদ, রাশা, আমি তপু, ক্যাম্প এইগুলা অনেক অনেক বেশি ই ভালো। তাই অন্যগুলা না পড়া থাকলেও একটু সময় করে ফ্রেস মাইন্ড নিয়ে এই কয়েকটা একটু পড়ে ফেলবেন। আর দীপু নাম্বার ২ এবং আমার বন্ধু রাশেদ এই দুইটা নিয়ে যেহেতু ম্যুভিও আছে তাই এই দুইটা উপন্যাস পড়ার সময় চরিত্রগুলো চোখে ভাসে একেবারে জীবন্ত। তাই ভালো লাগার মাত্রাটা আরো বেড়ে যায় -
A story of a boy named Dipu (called Dipu number 2; because there was another boy with same name), who admitted to a new school where he adapt new environment, makes a bully(Tareq) to a friend, makes a thrilling adventure with Tareq to find a statue from a archaeological dig-site, then fighting off smugglers.
It's a story of teen boy facing hard time in Bangladeshi school with classmates, teachers and knowing different people. If you read this you get a glimpse of a bully, a victim and their relationship turning into friendship. -
Dipu teaches me how important is to have friends to survive this world or a new place despite all odds. I love every single character from this book. This book is about friendship, courage and above all unity.
-
awesome
-
Dipu no.2! itz a common thing in our school that if there two students in same name we gave number. I saw the movie first than i read the book i think the movie was better than the book.
-
কি বলব আর বইটা সম্পর্কে? আমার চিন্তা চেতনার বিশাল একটা দ্বার খুলে দিয়েছিল বইটি।
এই উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি মুভিটাও অনেক ভাল ছিল। -
This is one of the first children adventure family fiction I ever read, and love the movie.
-
Gifted by Choto Phupi, mejho phupi <3
-
বাংলাদেশের কিশোর উপন্যাস গুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য চমৎকার একটি উপন্যাস হচ্ছে দীপু নাম্বার টু।
দীপুর বাবা "দীপু" চরিত্রটিকে এমন চমৎকার ভাবে গড়ে তুলেছেন, যা একই সাথে দৃঢ়তা ও আত্মসম্মান বোধের এক অসামান্য উদাহরণ।
আমার কাছে দীপুর বাবা চরিত্রটিকে চমৎকার লেগেছে সবদিক থেকে।
একজন সন্তানের প্রতি বাবার যে দায়িত্ব বোধ, ভালো বন্ধু হওয়া, শৈশবকে কিভাবে উপভোগ করতে হয় তা শেখানোর এক প্রকৃষ্ট উদাহরণ দীপুর বাবা।
বলা হয়ে থাকে- মা বাবা সবথেকে ভালো শিক্ষক সন্তানদের নিকট। একজন বাবা তাঁর সন্তানকে আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার সর্বাত্মক চেষ্টা করে থাকে। আত্মসম্মানবোধ ও আত্মোপলব্ধির এক সমন্বিত প্রয়াস একজন বাবার থেকেও ভালো আর কেউ দিতে পারে বলে জানা নেই।
দীপুর সংসারে মা নেই। বাবা ই তার মা বাবা সবকিছু। দীপুর বাবা একটু পাগলাটে টাইপের।
কোনো জায়গায় খুব বেশি দিন তাঁর মন টিকে না। অগত্যা দীপুকেও প্রতি বছর স্কুল পাল্টাতে হয়।
বরাবরের মতো নতুন স্কুল ও বন্ধুদের সবাইকে ই দীপুর ভীষণ ভালো লেগে যায়। শুধুমাত্র তারিক নামের একটি ছেলেকে ছাড়া। তারিক কিছুটা ডানপিটে একগুঁয়ে স্বভাবের ছেলে হওয়ায় কেউই তার সাথে মিশতে চায় না।
ঘটনাক্রমে - তারিকের সাথে দীপুর বন্ধুত্ব হয়ে যায়। দীপু জানতে পারে অভাবের সংসারে তারিকের মায়ের মানসিক সমস্যার কথা। মাকে নিয়ে ডানপিটে এই কিশোর ছেলেটির একবুক স্বপ্নের কথা।
একদিন - তারিক, দীপু ও তার বন্ধুরা জানতে পারে একটি বিদেশি চক্র বাংলাদেশের কিছু ঐতিহ্যবাহী নিদর্শন চুরি করে পাচারের চেষ্টা করছে। রাতের আঁধারে দীপু- তারিক ও তার বন্ধুরা নেমে পড়ে চোরা-চালানকারীদের বিরুদ্ধে চমৎকার এক অভিযানে। এমন এক অভিযান, যা আপনাকেও নিয়ে যাবে কিশোর বয়সের চমৎকার সেই দুরন্তপনায়।
🌼লেখকের মন্তব্য : "দীপু নাম্বার টু" ��চনা প্রসঙ্গে লেখক জাফর ইকবাল বলেন, "আমি যখন পদার্থ বিজ্ঞানে পিএইচ.ডি. করার জন্যে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছি তখন সেখানে আমি একেবারেই একা, বাংলায় কথা বলার একজন মানুষও নেই। পড়াশোনার প্রচণ্ড চাপ।
সিয়াটলের মেঘে ঢাকা ধূসর আকাশ, গুঁড়িগুড়ি বৃষ্টি, কনকনে শীত সব মিলিয়ে খুব মন খারাপ করা নিঃসঙ্গ একটা পরিবেশ। একাকীত্ব দূর করার জন্যে আমি তখন কল্পনায় একটা কিশোর তৈরি করে নিয়েছিলাম। তার নাম দিয়েছিলাম দীপু। যখন মন খারাপ হতো সেই কিশোরটি তখন আমাকে সঙ্গ দিতো। বিশ্ববিদ্যালয়ের বৃষ্টিভেজা ক্যাম্পাসের পিঠে ব্যাকপ্যাক নিয়ে হাঁটতে হাঁটতে সেই কাল্পনিক চরিত্রকে তা আপনজনদের প্রায় সত্যিকার মানুষদের মতো দেখতে পেতাম। এক সময় সেই কিশোর আর তার প্রিয় মানুষদের সুখ-দুঃখ আর অ্যাডভেঞ্চারের কাহিনীটা লিখতে বসেছি, গভীর ভালোবাসা নিয়ে লিখে শেষ করেছি। লেখা শেষ হলে নাম দিয়েছি "দীপু নাম্বার টু " -
'দীপু নম্বর টু' বইটা মহম্মদ জাফার ইকবালের লেখা খুবই বিখ্যাত একটি কিশোর উপন্যাস । ফেলুদা যেরকম আমাদের এখানে খুব পপুলার সেরকম এই বইটা বাংলাদেশে খুব পপুলার । এই বইটা কিনেছিলাম শেষ যেবার বাড়িতে এলাম মানে ২০১৯ এ । কলেজ স্ট্রিট বহু দোকান খুঁজেও বইটা পাচ্ছিলাম না । শেষে অনেক খুঁজে একটা ষ্টল পেয়েছিলাম যেখানে বাংলাদেশি বই রাখে । আমার লিস্ট এ অনেককটা বাংলাদেশি বই ছিল , সব কটা পাইনি কিন্তু এই 'দীপু নম্বর টু' বইটা পেয়েছিলাম। এতদিন বইটা বাড়িতেই ছিল, এখানে আমাদের যেই ছোট্ট বই পড়ার গ্রুপটা রয়েছে তাদের কয়েকজন বইটা নিয়ে পড়েছিল । আমি ফিরে এসে পড়ব ভেবে আর নিয়ে যায়নি । কাল রাতে বইটা পড়ি । খুবই ছোট (৭৯ পাতার) একটা উপন্যাস তাই বেশি সময় লাগেনি ।
আমরা যারা malguri days দেখেছি তাদের কাছে এই বইয়ের প্লটটা অচেনা নয় । এটাকে একটা সুন্দর malguri days এর এপিসোড বোললে খুব একটা ভুল বলা হবেনা । এই বইটাতেও swami , mani আর rajam এর মতো বিভিন্ন চরিত্রের খুদে পড়ুয়া রয়েছে যারা খুব ভালো বন্ধু হয়ে উঠবে বিভিন্ন ঘটনার মধ্যে দিয়ে। তাদের ক্লাস এইটের ছোট্ট ছোট্ট ঘঁটনা আর একটা ফাইনাল বড়সড়ো এডভেঞ্চার দিয়ে গল্পের শেষ ।
স্কুলের গল্প, তাই ঘটনাগুলো পড়তে পড়তে নিজেদের স্কুলের কথা মনে পড়ে যায় । যেরকম ধরা যাক "দীপু নম্বর টু" নামটা । এটা কোনো বইয়ের part two নয় । দীপুর বাবা ট্রান্সফার নেওয়ার জন্য দীপুকে নতুন স্কুলে ভর্তি হতে হয় । যখন ক্লাসে গিয়ে ওঁ নিজের নাম পরিচয় জানায় তখন একটা সমস্যার সৃষ্টি হয় । কারণ দীপু নামের আরেকজন ছাত্র সেই ক্লাসে আগের থেকেই উপস্থিত । স্কুলের টিচার আর সহপাঠীরা মিলে তার নাম দেয় "দীপু নম্বর টু"। আমাদের ক্লাসের অনেককে রঞ্জিত স্যার নতুন নাম দিয়েছিলেন স্কুলের প্রথম দিন । কারোর রসগোল্লা তো কারোর বোরোল্যান্ড । বেশ মজাই লেগেছিলো নতুন নাম পাওয়াতে :)।